Sunday, June 12, 2022
Monday, August 30, 2021
হ্যাঁ, R এর ggplot2 প্যাকেজে পাই চার্টের মতো নান্দনিক চার্ট আঁকার সরাসরি কোনো উপায় নেই। আঁকতে হয় বার চার্ট থেকে ঘুরিয়ে। কিন্তু আসলেই কি চার্ট দুটো আলাদা? আসলে তো পাই চার্টও এক ধরনের বার চার্টই! যেখানে বারগুলো সোজা দাঁড়িয়ে না থেকে বৃত্তাকার পথে চলছে। উপরের দিকে না গিয়ে ঘুরছে।
এই যে চার্টটিই দেখুন। পাই চার্টের এরিয়াগুলোকে চাইলে আপনি কৌণিক পথ বেয়ে চলা বার বা স্তম্ভ মনে করতে পারেন।এবার পাই চার্ট বানানো শুরু করা যাক। প্রথম কাজ হলো, x অক্ষে Race রাখা যাবে না। পাই চার্টে যেহেতু এরিয়াগুলো একটা আরেকটার ওপরে থাকবে, তাই y অক্ষে সংখ্যাগুলো বসিয়ে Race দিয়ে কালার করে নিচ্ছি।
দেখতে পাই চার্টের মতোই হয়েছে। তবে x অক্ষ, y অক্ষ ও আরও নানান জায়গায় অপ্রয়োজনীয় জিনিসে ভর্তি। এগুলো সরিয়ে একটু ক্লিন করি। theme_void() কাজটা করে দেবে।
এখন মোটামুটি কাজ চলার অবস্থায় আছে। এখনও অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। লিজেন্ড না দিয়ে এরিয়ার ওপরই লেবেল দিয়ে দিলে ভাল হয়। এছাড়াও এরিয়ার মধ্যেই সংখ্যা বা পারসেন্টেজ দেখানো যায়। আমাদের ডেটায় অবশ্য সংখ্যাগুলোই পারসেন্টেজ। তাই দুটো একই কথা।
চাইলে তো আরও কত কিছুই করা যায়। করার আগে চিন্তা করতে হবে সেটা কতটা অর্থবহ।
Saturday, August 28, 2021
পত্রিকার পাতা খুললেই ইদানিং সুন্দর সুন্দর ডোনাট চার্ট দেখা যায়। এগুলোও আসলে পাই চার্টই। তবে মাখখানে থাকে একটি ছিদ্র।
কিছু দিন মনে করতাম, R মনে হয় এমন প্লট বানাতে পারে না। মজার ব্যাপার হলো, অন্য কেউ পারে R পারবে না এমনটা হতেই পারে না। হলে এমন হতে পারে যে R পারে কিন্তু অন্যরা (যেমন এক্সেল, SPSS পাইথন) পারে না।এই প্লটটাও R-এই বানিয়েছি।
এমনিতে R-এর ggplot2 প্যাকেজে পাই চার্ট বানানোর জন্যে কোনো ফাংশন নেই। তবে একটু ঘুরিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যায়, পাই চার্ট আসলে এক ধরনের বার চার্টই। তবে বারগুলো খাড়াভাবে না থেকে কৌণিকভাবে অবস্থান করছে। একটা যেখানে শেষ আরেকটা সেখানে শুরু।
ওপরের ডোনাট চার্টটির দিকেই দেখুন। এরিয়াগুলোকে চাইলেই বার হিসেবে কল্পনা করতে পারেন। অতএব, ডোনাট চার্টের কায়দা কানুন বুঝতে হলে বার চার্ট বানানোর নিয়ম জানতে হবে। একদম চিন্তা নেই, অনেকগুলো পোস্টে সেটা আমরা ব্যাখ্যা করেছি।
☛ বার প্লট বানানোর কায়দা কানুন
তাহলে বানিয়ে ফেলি। ও, আগে কিছু ডেটা বানিয়ে নেই। টেবিলটা উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া।- এখানে পাই চার্ট বানানোর সুবিদার্থে আমরা geom_bar এর বদলে geom_col ব্যবহার করেছি।
- xlim দিয়ে ডোনাটের পুরুত্ব ঠিক করা হয়েছে। এর ওপর নির্ভর করে পাইয়ের ভেতরের ছিদ্র ছোট-বড় হবে।
- মূলত coord_polar দিয়ে বারগুলোকে কৌণিক রূপ দেওয়া হয়েছে।
- theme_void দিয়ে অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা হয়েছে।
- geom_text সম্পর্কে আরও জানতে এই লেখাটি দেখুন।
- বাকি জিনিসগুলো বিভিন্ন লেখায় আগেই বলেছি। দেখতে চাইলে দেখে নিন।
- প্লট কালারিং করার নানান উপায় দেখুন এখানে।
Thursday, July 22, 2021
ধরুন আমাদের কাছে একটি ডেটাফ্রেইম আছে যাতে অনেকগুলো কলাম আছে। এগুলোর সবগুলোর গড় , মধ্যমা বা পরিমিত ব্যবধান আমরা এক কমান্ডেই বের করতে চাই।
আজকের পোস্টে আমরা R-এর বিল্ট-ইন ডেটাসেট airquality ব্যবহার করব। এতে ৬টি কলাম বা চলক আছে। Rstudio ব্যবহার করলে আপনি View(airquality) দিয়ে ডেটাকে একনজর দেখে নিতে পারেন। Rstudio ব্যবহার না করে থাকলে প্রথমে ডেটাকে লোড করে নিতে হবে।
ডেটাফ্রেইমের কলাম ইনফরমেশন থেকে সহজ বারপ্লট |
Thursday, October 1, 2020
চেনাজানা সংখ্যাগুলোর সূচকের নিয়ম তো আমরা জানি। $3^2$ এর অর্থ হলো $3 \times 3$। মানে ৩ কে নিজের সাথে দুইবার গুণ করা। কিন্তু কাল্পনিক সংখ্যা $i^i$ এর মানে কী? এর মানই বা কী হবে? কেন হবে? সেটার অর্থ কী?
জটিল জিনিসকে সহজ করে চিন্তা করি। $i^i$কে $1 \cdot i^i$ চিন্তা করি। মানে আমরা ১ থেকে $i^i$ সংখ্যাটিতে যাব। আর ভাবব সেটার মানে আসলে কী।
আগেই বলেছি, ১ যেকোনো গুণের মৌলিক অংশ। ১-কে বলা হয় গুণজ অভেদ। যেভাবে যোগ-বিয়োগের মৌলিক অংশ শূন্য। যোগ-বিয়োগ করে কিছু না থাকলে থাকে শূন্য। গুণ (ও ভাগে) কাটাকাটি করে কিছু নেই মানে ১ আছে। যেমন, ৩কে ২ দিয়ে গুণ করা মানে আসলে ১কে ৬ দিয়ে গুণ করা। গুণ মানে আসলে ১কে ফুলিয়ে দেওয়া।
সংখ্যাকে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করতে শুরু করি। ধরুন একটি গ্রামে ৩০০ জন শিক্ষিত মানুষ আছেন। এখন আপনি চাইলেই এই ৩০০ সংখ্যাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে পারেন। শুরু করি ১ থেকে। শুরুতে গ্রামে একজন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন। তিনি এবং ক্রমেই তার ছাত্ররা বাকিদের শিক্ষিত করেছেন।
যেহেতু বৃদ্ধির (growth) কথা চলে এল, তাই কাজে আসবে আসবে সূচকীয় ফাংশন। বৃদ্ধির সাথে সূচকীয় ফাংশনের সম্পর্ক নিয়ে কিঞ্চিত (তবে এ লেখার জন্যে যথেষ্ট) আলোচনা আছে এখানে। সূচকীয় বৃদ্ধিটা মূলত ব্যবহার করা হয় অবিরাম বা প্রতি মুহূর্তেবৃদ্ধি পাওয়া জিনিসের ক্ষেত্রে।
সূচকীয় ফাংশনের ব্যবহারটা দেখে নেই। সূত্রটা এ রকম: $P=P_oe^{rt}$
এখানে
P =বৃদ্ধির পরে যা হবে। আমাদের উদাহরণে এটা ৩০০।
$P_o$= শুরুতে যা ছিল। এটা আমাদের উদাহরণে ১। কারণ আমরা ধরে নিয়েছি ১ জন শিক্ষিত মানুষ আছেন।
e = অয়লার সংখ্যা (২.৭১৮...)। এখানে এটা নিয়েও আলোচনা আছে।
r = বৃদ্ধির হার
t = $P_o$ থেকে $P$ হতে যতটুকু সময় লাগবে।
সূত্রে মানগুলো বসালে আমরা পাই,
$300=1 \cdot e^{rt}$
বা $\ln(300)=rt$
বোঝার সুবিধার্থে সময়কে এক একক (যেমন এক মাস) ধরে নিলে এই কথার অর্থ হয়: $\ln(300)$ হারে ১ জন শিক্ষিত মানুষ গ্রামের সবাইকে অবিরাম পড়াতে থাকলে এক মাসেই ৩০০ জন মানুষ শিক্ষিত হয়ে যাবেন। $\ln(300)$ এর মান ৫.৭০২ দেখে ভাববেন না, কীভাবে এটা সম্ভব? মনে রাখতে হবে, তিনি একজনকে শিক্ষিত করা মাত্রই সেই শিক্ষিত মানুষ আরেকজনকে, তিনি আরেকজনকে, ... এভাবে শিক্ষাদান এগিয়ে যেতে থাকবে।
তার মানে, সহজ কথা হলো, ৩০০ মানে আমরা বুঝব, $\ln(300)$ হারে অবিরাম কিছু একটা বৃদ্ধি পেতে থাকলে চূড়ান্ত মান হবে ৩০০। একইভাবে $\ln(5)$ হারে একইভাবে বৃদ্ধি পেলে মান হবে ৫। এটাই হলো সংখ্যাকে অন্য আরেকভাবে চিন্তা করা। সবসময় হয়ত আপনি ৩, ৫ কে এভাবে সূচকীয় বৃদ্ধির মাধ্যমে পাবেন না। তবে এটাও কিন্তু সংখ্যাকে অনুভব করার আরেকটি উপায়।
দেখা যাক, এই অনুভব দিয়ে কাল্পনিক সংখ্যাকে বোঝা যায় কি না। প্রথমে ১ থেকে i তে যাওয়া যাক। এজন্যে আমাদেরকে ৯০ ডিগ্রি বাঁয়ে ঘুরতে হবে। মানে X অক্ষ থেকে ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে ঘুরে Y অক্ষে যেতে হবে। কারণ i এর অবস্থান ১ একক সমান দৈর্ঘ্যের Y অক্ষে।
তাহলে ১ থেকে iতে যেতে হলে আমাদেরকে $\frac {\pi} 2$ পরিমাণ বা ৯০ ডিগ্রি ঘুরতে হবে। তাহলে আমাদের বৃদ্ধির হার হবে $i \cdot \frac{\pi}{2}$।
বৃদ্ধির ফর্মুলাটা হলো, $e^{rt}$। আমাদেরকে এই ফর্মুলা দিয়ে $i$ অবস্থানে যেতে হবে। তাহলে ১ থেকে ১ একক সময়ে i অবস্থানে যেতে হলে আমাদেরকে ঐ সময়ে ৯০ ডিগ্রি ($\frac{\pi}{2}$ রেডিয়ান) ঘুরতে হবে। অতএব, ১ থেকে $i$ পেতে আমরা এই সূত্র ব্যবহার করতে পারি
$i=e^{i \frac{\pi}{2}}$
একে আরেকভাবেও চিন্তা করা যায়। ১ থেকে (-১) এ যেতে আমরা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরি। আর সেটাকে অয়লারের অভেদ দিয়ে প্রকাশ করি $e^{i \pi}$ দিয়ে। তাহলে ১৮০ এর অর্ধেকটা মানে ৯০ ডিগ্রি বা $i$ অবস্থানে যেতে ফর্মুলাটা হবে $e^{i \frac{\pi}{2}}$।
এ তো গেল i। কিন্তু i এর পাওয়ারও তো i। সেটার কী হবে? এটা বলছে আমাদেরকে $i \frac{\pi}{2}$
হারের বদলে $i \frac{\pi}{2} \cdot i$ হারে বৃদ্ধি করতে হবে। ঠিক যেমন
$3^4$ মানে আমাদেরকে $\ln(3)$ হারে বৃদ্ধি করে তার আবার চারগুণ যেতে হবে।
মানে নতুন হার হয়েছিল $\ln(3) \times 4$।
তার মানে বৃদ্ধির হার হবে $i \frac{\pi}{2} \cdot i = \frac{\pi}{2} \cdot -1 = - \frac{\pi}{2}$
কারণ, আমরা জানি, $i \cdot i $ বা $i^2$ এর মান (-1)।
আমাদের বৃদ্ধির হারটা বাস্তব সংখ্যা হয়ে গেল! কিন্তু নেগেটিভ। এর মানে আসলে বৃদ্ধির বদলে হ্রাস ঘটবে। তার মানে, আমরা শুরু করেছিলাম ১ থেকে। আর এখন যাকে পাব সে হবে ১ এর চেয়ে ছোট। দেখা যাক, সেটা কী?
0.2078796
Sunday, September 27, 2020
আমরা জানি, $e^{iπ}=-1$। কিন্তু কেন? যারা গণিতকে শুধু বইয়ের অক্ষরের মধ্যেই সীমিত মনে করেন, তাদের মতে এই সূত্রের কোন বাস্তব তাৎপর্য নেই। এটা নিছক সূত্রের মারপ্যাঁচে ঘটে গেছে।
সূত্রটা স্বাভাবিক বুদ্ধির সম্পূর্ণ বিপরীত। একে আমরা না বুঝতে পারি, আর না জানি এটা কী বোঝায়। তবে যেহেতু এর প্রমাণ আছে, তা বাধ্য হয়ে একে মানতে হচ্ছে।
লিওনার্দ অয়লার ছিলেন সুইস গণিত ও পদার্থবিদ। অবদান রেখেন জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোল, যুক্তিবিদ্যা ও প্রকৌশলেও। গ্রাফ থিওরি ও টপোলজির সূচনা তাঁর হাত ধরেই।
Tuesday, September 8, 2020
অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রতিদিন প্রেজেন্টেশন স্লাইড বানাতে হয়। MS পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইডকে বিদায় জানিয়েছি এক বছর আগে। এখন স্লাইড বানাই কোড লিখে লিখে। ব্যবহার করি এক গাদা ল্যাংগুয়েজ। অন্তত সাতখানা। R, Markdown, Javascript, HTML, CSS, Tex (Latex) ও bash। প্রতিটা ল্যাংগুয়েজই অসাধারণ। মিলেমিশে টিমওয়ার্ক করে আমার মনের মতো স্লাইড বানিয়ে দেয়।
Friday, August 21, 2020
টেক্সট অ্যানালাইসিস আমার খুব প্রিয় জিনিস। প্রিয় ওএস লিনাক্সে আসার পর কাজটা আরও অনেক সহজ হয়ে গেছে। কীভাবে হলো একটু দেখাই যাক।
ধরুন আমাদের কাছে কিছু টেক্সট আছে। এর কিছু শব্দকে অন্য কিছু দিয়ে পাল্টে দিতে চাই।
এই কোড hello শব্দের h-কে t দিয়ে বদলে দেবে। শুরুতেই s দিয়ে বলা হচ্ছে, বদলে দাও। ইংরেজিতে substitution আরকি।
এখানে আমরা যে টেক্সট নিয়ে কাজ করব সেটাকে আগে echo দিয়ে প্রিন্ট করে নিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে আমাদেরকে ফাইন্ড ও রিপ্লেসের এই কাজখানি করতে হবে ফাইল দিয়ে। সে কাজটাও পানির মতোই সোজা। ধরুন আমাদের কাছে file নামে একটি ফাইল আছে। চাইলে আপনি এক্সটেনশনসহ ফাইল নিতে পারেন। যেমন file.txt। তাতে কোনোই অসুবিধা হবে না। ধরা যাক file ফাইলটিতে এই তথ্যগুলো আছে।
এবার ধরুন, আমরা এখান থেকে প্রথম line শব্দটাকে statement শব্দ দিয়ে বদলে দিতে চাই।
তবে ফাইলের সবগুলো কাঙ্ক্ষিত শব্দকে চেঞ্জ করা নিশ্চিত করতে চাইলে "g" অংশ যোগ করতে হবে। মানে এ রকম:
এটা কেন দরকার দেখতে হলে নীচের দুই লাইন কোড রান করে দেখুন। দেখবেন দুটো থেকে দুরকম আউটপুট মিলবে।
এ তো গেল শুধু একটা একটা অংশ রিপ্লেস করতে চাইলে। আপনি চাইলে অনেকগুলো অংশকে অনেকগুলো আলাদা আলাদা শব্দ দিয়েও রিপ্লেস করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি অংশের আগে "-e" দিতে হবে।
Wednesday, August 12, 2020
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ |
এখন প্রশ্ন হলো ম্যাপ আঁকার ডেটা পাব কোথায়? একটুও চিন্তা করবেন না। এসব ডেটা অনেক মহামানুষ কষ্ট করে বানিয়ে রেখেছেন। আপনাকে শুধু খুঁজে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে এই যা। ম্যাপ আঁকার জন্য প্রয়োজনীয় শেইপফাইল পাবেন এখানে।
ডাউনলোড করে নিয়ে আনজিপ করে নিন। এবার কী করবেন সেটা এই লেখায় আগেই বলা হয়েছে।
লেখাটির plot(zilla, col="green") কোড পর্যন্ত অন্তত অনুশীলন করে আসুন।
এসেছেন তো? এবার সামনে যাওয়া যাক।
আমরা এবারে ম্যাপ আঁকব ggplot2 দিয়ে। ggplot2 সব অবজেক্টকে ডেটাফ্রেইম হিসেবে দেখতে চায়। তাই শেইপফাইলকে ডেটাফ্রেইম বানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু সেটা এমনভাবে করতে হবে যেন ম্যাপের সবকিছু আবার উলটপালট হয়ে না যায়। সেজন্য ব্যবহার করতে হবে fortify ফাংশন।
এবার আরেকটি বড় কাজ বাকি। করোনার তথ্য এই ডেটাফ্রেইমে নিয়ে আসতে হবে। সেটা আমরা করব। তার আগে আপনি একটু দেখে নিন zilla_gg ডেটাফ্রেইমে কী আছে। এই কোড রান করতে হলে Rstudio লাগবেই আপনার।
কলামগুলো দেখে নিন একবার। ও আচ্ছা, তার আগে শুধু zilla অবজেক্টটাও দেখে নিন। খেয়াল করলে দেখবেন NAME_2 কলামে দেশের জেলাগুলোর নাম আছে। তবে fortify করার পর এতকিছু নেই। ম্যাপের তথ্য এখানে long, lat নামে দ্রাঘিমা ও অক্ষাংশ হিসেবে সংরক্ষিত আছে। zilla_ggতে id নামে একটি কলাম আছে। একটু মিলিয়ে দেখলে বুঝবেন এটা আসলে ৬৪ জেলার জন্য ইউনিক আইডি। শুরু ০ থেকে আর শেষ ৬৩-তে। এখন এই আইডির বিপরীতে আমাদের করোনার তথ্য বসিয়ে নিলেই আমাদের ডেটা প্রস্তুত।
কাজটি একটু বিরক্তিকর। সেটাকে সহজ করার জন্যে আমি সবসময় একটি csv ফাইল রেডি রাখি। আপনি চাইলে এখান থেকে ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। corona নামে এখানে একটি কলাম আছে। এই কলামটি আপডেট তথ্য দিয়ে পূর্ণ করা আপনার দায়িত্ব। এখন কাজ হলো এই তথ্যকে zilla_gg ডেটাফ্রেইমে নিয়ে আসা।
সেটা করার জন্যে আমরা ব্যবহার করব dplyr প্যাকেজের left_join ফাংশন। এই ফাংশনগুলো কীভাবে কাজ করে দেখতে হলে এখানটায় ঢুঁ মেরে আসুন। ও, তার আগে csv ফাইলটা পড়ে নিই। আরেকটি কাজ করা লাগবে। zilla_gg এর id কলামটা character হয়ে আছে। কিন্তু আমাদের csv ফাইলে id কলাম হলো numeric। তাই zilla_gg কে numeric করে নিতে হবে।
তারপর জয়েন করে ফেলি।
এবার শুধুই আঁকা।
আপাতত আমরা এটা পেলাম।
কিন্তু নিজের ইচ্ছেমতো রং দেওয়া না গেলে কি আর মনে শান্তি পাওয়া যায়? এজন্যে RColorBrewer প্যাকেজ দারুণ উপকার করে। তবে এখানে আমরা সেটা ছাড়াই রং করে ফেলব। আগের কোডের পরে "+" চিহ্ন দিয়ে এটা যুক্ত করে দিন।
এবারে কিন্তু আমরা উপরে দেখানো ম্যাপই পেয়ে গেলাম। এখানে যেহেতু আমরা মৃত্যু দেখাচ্ছি, তাই লাল থেকে হলুদ রংয়ের দিকে গিয়েছি। অন্য ক্ষেত্রে অন্য কালার কম্বিনেশন ব্যবহার করাই ভাল। আরও বেশি কালার কম্বিনেশনের জন্যে আমি এই লিংকটা কাজে লাগাই। আপনিও লাগাতে পারেন।
আরও পড়ুন:
☛ R প্রোগ্রামিং: প্লট কালারিং এর ৯ উপায়
মূল কাজ তো শেষ। এখন আরও কিছু ফাইন-টিউনিং করে নিলে মন্দ কী!
Sunday, May 17, 2020
আগে চলুন ১০ আর ১১ যোগ করি।
একইভাবে বিয়োগ
এখানে expr আসলে expression বা গাণিতিক পদ বোঝায়।
তবে গুণ সোজাসুজি কাজ করবে না। এই কোডটা দিয়েই দেখুন না।
দিতে হবে এভাবে
তবে ভাগ কাজ করবে ফরোয়ার্ড স্ল্যাশ দিয়েই।
তবে পরের এক্সপ্রেশনটার আউটপুট দেখলে খেয়াল করবেন, ফল এসেছে পূর্ণ সংখ্যায়। আসলে সহজ এই টুলটি ভগ্নাংশ নিয়ে কাজ করতে পারে না।
সেজন্যে আপনার লাগবে bc টুল। কমান্ড লাইনে হিসাব-নিকাশের জন্যে এটা অন্যতম সেরা একটি টুল। দারুণ ব্যাপার হলো এখানে আপনি ভগ্নাংশ নিয়েও কাজ করতে পারেন। এখানে echo দিয়ে expression লিখে পাইপ অপারেটর দিয়ে তাকে bc টুলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পাইপ অপারেটর ("|") দিয়ে।
আরও পড়ুন
লিনাক্স কমান্ড লাইন: হাতে খড়ি
চাইলে কত ঘর পর্যন্ত দশমিক চান সেটা বলে দিতে পারবেন। এজন্য scale বলে দিতে হবে।
বুঝতেই পারছেন, scale এর পজিশন যেকোনো জায়গায় হতে পারে।
bc নিয়ে বিস্তারিত গল্প অন্য সময় করব ইনশাআল্লাহ।
একটি সংখ্যার উৎপাদক বের করাও কমান্ড লাইনে এক শব্দের খেল।
মনে করুন, এক সারি নাম্বার চাই আপনার। তাও জেনারেট করতে পারবেন সহজে। ধরুন আমরা ৫ টি সংখ্যা জেনারেট করব যারা শুরু হবে ১০১ দিয়ে।
আরেকটু কাজের কাজ করি। ধরুন আমাদের May1, May2, May3 ইত্যাদি এক সারি আউটপুট লাগবে। বারবার এটা না লিখে এটা আমরা jot দিয়ে বানিয়ে নিতে পারি। হ্যাঁ, এখানে আমাদের bash loop কমান্ড লাগবে।
আরও পড়ুন
লিনাক্স কমান্ড লাইন: সহজ লুপ
চাইলে এই আউটপুট একটি ফাইলেও সেভও করে নিতে পারেন।
সবশেষে jot কমান্ডের আরেকটা কারিশমা দেখব। পরিসংখ্যানে আমাদেরকে প্রায়ই দৈব সংখ্যা (random number) নিয়ে কাজ করতে হয়। দেখুন jot দিয়ে কত সহজে কাজটা করা যায়। নীচের কোডে প্রথম ১০ দিয়ে বলছি আমরা ১০টি সংখ্যা চাই। পরের দুটি সংখ্যা দিয়ে রেঞ্জ বোঝানো হলো। অর্থাৎ, সংখ্যাগুলো হবে ১০ ও ১০০ এর মধ্যে।
একই কোড দুইবার দিলাম দেখানো জন্যে যে দুইবার আসবে আলাদা আলাদা আউটপুট। র্যান্ডম নাম্বার বলে কথা!
এখন যা করব সেটা নিছক মজা পাওয়ার জন্যে। আপনি চাইলে পালাতে পারেন এখান থেকে। অবশ্য শিখি তো মজা পাবার জন্যেই।
আমরা দেখব ১ থেকে ৫ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো থেকে দৈবভাবে ১,০০০ টা সংখ্যা নিলে কয়টা সংখ্যা কয়বার আসে।
সূত্র
১। নেটওয়ার্ক ওয়ার্ল্ড