Friday, April 26, 2019

বেইজ R দিয়েও সহজেই দুই ধরনের বার চার্টই আঁকা যায়। তবে ggplot2 দিয়ে আকাঁ চার্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করবে। আজ আমরা নীচের বার চার্টটি আঁকব।

এটাই আঁকব। তবে ধাপে ধাপে দেখা যাক।

ও আচ্ছা। এই লেখায় আমরা gcookbook প্যাকেজের ডেটা ব্যবহার করব। তাই, ভালো হয় প্যাকেজটি ইনস্টল ও লোড করে নিন।
install.packages("gcookbook")
library(gcookbook)
এই প্যাকেজের cabbage_exp ডেটা ব্যবহার করব। আপনি Rstudio ব্যবহার না করে থাকলে এই ডেটা লোড করে নিন। data(cabbage_exp) কমান্ড দিয়ে। 

এবার আকাঁ শুরু করা যাক। 
ggplot(cabbage_exp,aes(x=Date, y=Weight, fill=Cultivar))+
  geom_bar(position = "dodge", stat = "identity")+
  ggtitle("Grouped Bar Chart of Weight by Cultivar")
এখানে position = "dodge" দেওয়াতে বারগুলো পাশাপাশি বসেছে। এটাই গ্রুপড বার চার্ট করার কমান্ড। স্ট্যাকড বার তৈরি করতে হলে এখানে দিতে হবে "stack"। আর stat = "identity" দিতে হয়েছে, কারণ cabbage_exp ডেটায় weight এর মানগুলো সরাসরি দেওয়া আছে। এভাবে না থেকে ধরুন এভাবে থাকল, "Male", "Male", "Female", "Male", "Female"। এখান থেকে Rকে হিসবে করে নিতে হত কোন গ্রুপে কয়টা আছে। সেক্ষেত্রে আমরা দিতাম stat="count"। অবশ্য এই অপশনটা ডিফল্ট কাজ করে বলে কিছুই না দিলেও চলবে। 

এবার আমরা কিছু অপশন পাল্টে দেখি। 
  • আমরা গ্রুপড না করে স্ট্যাকড বার আঁকব। position = "stack"
  • অটো কালারে বদলে RColorBrewer প্যাকেজ দিয়ে কালার দেব। আরও দেখুন এখানে
ggplot(cabbage_exp,aes(x=Date, y=Weight, fill=Cultivar))+
  geom_bar(position = "stack", stat = "identity")+
  scale_fill_brewer(palette = "Paired")+
  ggtitle("Grouped Bar Chart of Weight by Cultivar")
এবার আমরা 
  • বারের সাথে প্রতি বারের মান দেখাব। 
  • আমরা বারগুলো খাড়া না রেখে অনুভূমিক করে দেব। এজন্য বাড়তি কোড: coord_flip()
  • এক্ষেত্রে স্ট্যাকড এর চেয়ে গ্রুপড বার ভাল দেখায় বলে আমরা আবারও position="dodge" ব্যবহার করব। 
ggplot(cabbage_exp,aes(x=Date, y=Weight, fill=Cultivar))+
  geom_bar(position = "dodge", stat = "identity")+
  scale_fill_brewer(palette = "Paired")+
  geom_text(aes(label=Weight), vjust=1.5, colour="black",
            position=position_dodge(0.9), size=4)+
  coord_flip()+
  ggtitle("Grouped Bar Chart of Weight by Cultivar")

আমরা পেয়ে গেলাম কাঙ্খিত চার্ট। সরল বার চার্ট আঁকার কৌশল দেখে নিন এখানে

পুনশ্চ: dplyr বা magrittr প্যাকেজ লোড করা থাকলে ggplot(cabbage_exp,aes অংশটুকুকে আরও সহজ করেও লেখা যায়।

cabbage_exp %>% ggplot(aes(...

%>% কে বলা হই পাইপ অপারেটর। dplyr প্যাকেজে এটার ব্যবহার খুব দারুণ। 
Category: articles

Thursday, April 25, 2019

নান্দনিক গ্রাফের জন্য ggplot2 ব্যবহার না করলে জীবনটাই বৃথা। সাথে যদি RColorBrewer যুক্ত হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কথা কম বলে কাজে নেমে পড়ি।

এটাই আমরা শেষে দেখব 
ইনস্টল করা না থাকলে install.packages("ggplot2") দিয়ে ও একইভাবে RColorBrewer ইনস্টল করে নিন। এবার প্যাকেজ দুটি লোড করে নেই। মনে রাখবেন, লোড করার সময় কোটেশন দিতে হবে না।
library(ggplot2)
library(RColorBrewer)
এবার এঁকে ফেলি। মনে রাখতে হবে, ggplot2 প্যাকেজ ভেক্টরের বদলে ডেটাফ্রেইম নিয়ে কাজ করে। এখানে আমরা ggplot2 এর বিল্ট-ইন ডেটাসেট diamonds ব্যবহার করব। প্রথমে আমরা RColorBrewer ছাড়া এঁকে দেখি। 
ggplot(diamonds, aes(cut))+
  geom_bar(fill="blue")+
  labs(title="Diamonds Quality Bar Plot")

এখানে blue কালার দিলাম। এবার দেখা যাক RColorBrewer কীভাবে একে আরও আকর্ষণীয় করে।
ggplot(diamonds, aes(cut))+
  geom_bar(fill=brewer.pal(n=9, name='GnBu')[9:5])+
  labs(title="Diamonds Quality Bar Plot")
এখানে brewer.pal কীভাবে কাজ করে বুঝতে অসুবিধা হলে এখান থেকে প্লট কালারিং এর উপায়গুলো দেখে নিন। বর্ণিত ৯টি উপায়ের মধ্যে ৯ নম্বরটি দেখতে হবে। 

দুই প্যাকেজের সমন্বয় 
তবে একটি সমস্যা হয় অনেক সময়। RColorBrewer এর কালারের ৩ সেট কম্বিনেশন আছে। পুরো লিস্ট দেখতে পারেন এখানে। এগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ১২টি পর্যন্ত কালার আছে। আমাদের বার চার্টের বার আরও বেশি হয়ে গেলেই R-এ error দেখায়। 

এটার সমাধানও সোজা। আগে থেকে কালার বানিয়ে রেখে দিলে সুবিধা। 
col <- brewer.pal(9, "Spectral")
আপনি চাইল Spectral এর বদলে অন্য প্যালেটও দিতে পারেন। লিঙ্কটা থেকে দেখে নিলেই হলো। এবার অনেকটা আগের মতোই। শুধু একটি পার্থক্য। colorRampPalette ফাংশনের ভেতরে প্যালেটকে দিয়ে দিতে হবে। 

ও আচ্ছা। কালার যেহেতু ১২টার বেশি হলে সমস্যা হবে, তাই আগেই ১২টার বেশি বার হবে এমন একটি ডেটা বানিয়ে নেই। 
df <- data.frame(x=sample(15, 1000, replace = T))
এবার শুধু আঁকা বাকি। 
ggplot(df, aes(x))+
  geom_bar(fill=colorRampPalette(col)(15))+
  coord_flip()
এটাই উপরে দেখানো গ্রাফটা। বিভিন্ন কালার কম্বিনেশন দিয়ে পাল্টে নিন চেহারা! আপনি চাইলেয়াগে থেকে না বানিয়ে রেখে একবারেও বসিয়ে দিতে পারেন। কেউ কিছু মনে করবে না।
ggplot(df, aes(x))+
  geom_bar(fill=colorRampPalette(brewer.pal(8, "GnBu"))(15))+
  coord_flip()
সূত্রঃ
১। R graph gallery
Category: articles

Wednesday, April 24, 2019

ডেটা নিয়ে কাজ করতে গেলেই অনিবার্যভাবে রিলেশনাল ডেটাবেজের ধারণা চলে আসবে। আমরা সাধারণত যেসব ডেটা নিয়ে কাজ করি তাতে সব ডেটা থাকে একই টেবিলে বা ডেটাফ্রেইমে। উল্লেখ্য, R-এ যেটাকে আমরা ডেটাফ্রেইম বলি, SQL এ সেটাকে টেবিল বলে। নীচে কয়েকটি টেবিলের কলাম বা ভ্যারিয়েবলগুলো দেখানো হলো। এগুলো R এর nycflights13 প্যাকেজ থেকে নেওয়া।

nycflights13 প্যাকেজের কয়েকটি ডেটাফ্রেইম বা টেবিল। সোর্সঃ tidyverse
দেখুন, flights টেবিলের কলামগুলো হলো year, month, day, hour, origin, tailnum ইত্যাদি। প্রায় একই কলাম আছে weather টেবিলেও। আবার planes টেবিলে আছে tailnum, year ইত্যাদি কলাম। airlines টেবিলে আছে tailnum, names ইত্যাদি।

তবে flights টেবিলে names কলামটা নেই। চাইলে আমরা airlines থেকে names কলামটা flights টেবিলে নিয়ে আসতে পারি। এক টেবিলের কলামকে আরেক টেবিলে নিয়ে আসার এই প্রক্রিয়াই হলো রিলেশনাল কাজ। তবে অবশ্যই দুটো টেবিলকে লিঙ্ক করার জন্যে কমন একটা টেবিল কলাম থাকা চাই। এই কলামকে বলা হয় key। যেমন flights এবং arilines এর মধ্যে carrier কলাম হলো key।

খেয়াল করলে দেখবেন, অন্য টেবিলের মধ্যেও এমন key আছে।

এবার দেখা যাক, কাজটা আমরা কীভাবে করব। ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্টের সবচেয়ে মৌলিক ল্যাংগুয়েজ হলো SQL। পুরো নাম Structured Query Language। এখানে রিলেশনাল টেবিল নিয়ে কাজ করার চারটি অপশন আছে।
  • Inner Join
  • Left Join
  • Right Join
  • Full Join
R-এও রিলেশনাল টেবিল নিয়ে কাজ করার সময় এই চারটি জয়েন নিয়ে কাজ করা হয়। তাই প্রথমে কোনটির কী কাজ সেটা দেখে নেই। কথাগুলো একটু কঠিন লাগতে পারে। তবে পরের উদাহরণ দেখলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। 
  • Inner Join: দুটো টেবিলের শুধু কমন মানগুলো যে যে  সারি (row) তে আছে সেগুলো রিটার্ন করবে।  
  • Left Join: বাম পাশের টেবিলের সব সারি দেখাবে। ডান পাশের যে সারিগুলো বাম পাশের সাথে মিলে যাবে সেগুলো নিয়ে আসবে। 
  • Right Join: ডান পাশের টেবিলের সব সারি দেখাবে। বাম পাশের যে সারিগুলো ডান পাশের সাথে মিলে যাবে সেগুলো নিয়ে আসবে। 
  • Full Join: দুই টেবিল থেকেই সব সারি নিয়ে আসবে। মিল না পেলে missing value হিসেবে থাকবে। R এ যেটাকে NA হিসেবে দেখানো হয়। 
নানান রকম join
এবার কিছুটা বাস্তব টেবিল থেকে যাক কোন জয়েন কী রেজাল্ট দেবে।

এই ছবিটিকে এক মিনিট চোখ বড় বড় করে দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবার কথা কোন জয়েন কী কাজ করে।

আমরা R এর ছোট্ট একটা উদাহরণ দেখি। উপরের টেবিলের মতো করেই আগে ডেটা বানিয়ে নিই। ডেটাফ্রেইম বানানোর জন্য আমরা সাধারণত data.frame ফাংশন ব্যবহার করি। তবে tidy ডেটার কনসেপ্টে থাকার জন্য এখানে আমরা tibble ফাংশন ব্যবহার করব। অবশ্যই dplyr প্যাকেজটি লোড করে নিতে হবে।
x <- tibble(key=1:3, val_y=c("x1", "x2", "x3"))
y <- tibble(key=c(1,2,4), val_y=c("y1", "y2", "y3"))
x %>% inner_join(y, by="key")
বাকিগুলো একইভাবে নিজেই করে দেখুন। কোডগুলো কী হবে বুঝতেই পারছেন। left_join, right_join এবং full_join।

এই কাজগুলো SQL দিয়ে করতে গেলে একটু ভিন্নভাবে কোড লিখতে হবে। আগ্রহী হলে দেখে আসুন এখান থেকে। 
Category: articles

Monday, April 8, 2019

আগে কাজটা করতাম অনলাইনে। অনলাইন-কনভার্ট ডট কমসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সহজেই পিডিএফ বা ইমেজ কনভার্ট বা মার্জ করা যায়। তবে অসুবিধা হলো, ফাইলগুলো সেখানে আপলোড করতে হয়। আবার শেষে ডাউনলোড করা। সময় অপচয়ের ভালো রাস্তা।



অথচ কাজগুলো করা যায় কয়েক শব্দের এক লাইন কোড দিয়েই। এখানে পিডিএফ ও ইমেজ বিষয়ক এমন কয়েকটি কমান্ডই দেখব আমরা।

কাজটা আমরা করব কমান্ড লাইনে। আপনি লিনাক্স ইউজার হলে তো কথাই নেই। না হলেও সমস্যা নেই। WSL ইনস্টল করে নিলেই হলো। কীভাবে করবেন দেখে নিন এখানে

আরও পড়ুন
☛ লিনাক্স কমান্ড লাইন: হাতেখড়ি

এবার তাহলে টার্মিনাল বা WSL ওপেন করুন। এখানের কাজগুলো করতে হলে আমাদের একটি বিখ্যাত প্যাকেজ লাগবে। নাম ImageMagick। এটা ইনস্টল করে নিন তাহলে। লিঙ্কে বিস্তারিত বলা আছে। অত ঝামেলায় যেতে না চাইলে নীচের কোডটা রান করে দেখুন।




১। পিডিএফ জোড়া দিতে

মনে করুন, আপনার ওয়ার্কিং ডিরেক্টরিতে অনেকগুলো পিডিএফ ফাইল আছে। এর মধ্যে কয়েক্টিকে আপনি জোড়া দিতে চাচ্ছেন। ধরুন আমরা pdf1.pdf, pdf2.pdf, pdf3.pdf এই তিনটি ফাইলকে জোড়া দিয়ে merged.pdf নামে একটি ফাইল বানাব।



কাজটা একইরকম সহজ করে করা যায় pdfunite টুল দিয়েও। সেক্ষেত্রে ওপরে convert এর জায়গায় শুধু pdfunite লিখলেই হবে।

অথবা ধরুন, আমার ওয়ার্কিং ডিরেক্টরির সবগুলো পিডিএফ নিয়েই নতুন একটা পিডিএফ বানাব। সেটা আরও সহজ।



এখানে * দিয়ে বোঝানো হচ্ছে .pdf এক্সটেনশনযুক্ত সকল পিডিএফ ফাইল।

অথবা ধরুন, নামে মিল আছে এমন কিছু ফাইলকে আমরা মার্জ করব। ধরা যাক, আমরা যে ফাইলগুলো মার্জ করব সেগুলোর সবার নামের শেষে bd আছে। মানে এমন fruitbd.pdf, fishbd.pdf ইত্যাদি। তাহলে-



২। ছবি থেকে পিডিএফ

ধরুন আমরা image.jpg কে image.pdf বানাব। তাহলে-



আগের মতোই যদি সব jpg ছবিকে পিডিএফ বানাতে চাই তাও সম্ভব।



একইভাবে png, jpeg ইত্যাদি ছবিকেও সহজেই পিডিএফ বানিয়ে নিতে পারেন।

৩। পিডিএফ ভাঙতে-

মনে করুন আমাদের পিডিএফ ফাইলের নাম input.pdf। আমরা এর ১ থেকে ১০ নং পেইজ নিয়ে একটা পিডিএফ ফাইল বানাব। এখানে মাথায় রাখতে হবে, এখানে ইন্ডেক্সিং শুরু হয় ০ থেকে। তাই, ১-১০ না লিখে আমরা লিখব ০-৯।



একেক পেইজ একেক জায়গা থেকে নিতে চাইলেও সমস্যা নেই। ধরুন আমরা ১ থেকে ৫ নং পেইজ নেব। তারপর নেব ৭ নং পেইজ। তারপর ১০ থেকে ১২।



আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকুন।

সূত্র
১। লিনাক্সকমান্ডো
২। উইকিহাউ
Category: articles

Wednesday, April 3, 2019

ডেটা সায়েন্সের অন্যতম জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ R। জনপ্রিয়তা পেছনে অন্যতম বড় একটি কারণ এর বিশাল ইউজার কমিউনিটি। আর অনলাইনে রয়েছে ল্যাংগুয়েজটি শেখার প্রচুর পরিমাণ রিসোর্স। এ রকম কিছু রিসোর্স নিয়ে বলছি। এর বাইরেও ভালো রিসোর্স থাকা অসম্ভব নয়।

অনলাইন কোর্স
১। DataCamp: Introduction to R

ডেটা সায়েন্সের জন্যে অনলাইন কোর্সের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ডেটা ক্যাম্প। এখানে R একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করতে Introduction to R কোর্সটি খুব ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। একজন বিগিনার হিসেবে R সম্পর্কে যা যা জানা দরকার তার সবই এখানে আছে। তার ওপর কোর্সটি করা যাবে বিনা মূল্যেই। এই কোর্সে ছয়টি চ্যাপ্টার আছে। এগুলোতে যথাক্রমে ভ্যারিয়েবল টাইপ, অ্যাসাইনমেন্ট, ভেক্টর, ম্যাট্রিক্স, ফ্যাক্টর, ডেটা ফ্রেইম ও লিস্ট শেখানো হয়।


ডেটাক্যাম্পের বড় একটি সুবিধা হলো এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টেক্সট বা ভিডিও টিউটোরিয়ালের বদলে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখানো হয়। প্রতিটি সেকশনে নির্দেশনা অনুসারে আপনার নিজেকে কোড লিখে সফলভাবে সাবমিট করে তবেই পরের সেকশনে যেতে হবে। তবে এই কোর্সটাকে R এর বিশাল রত্মভাণ্ডারের দরজা বলা যায়। R এর সঠিক প্রয়োগ করতে হলে আরও আরও রিসোর্সের সহায়তা নিতে হবে। ডেটাক্যাম্পেই শুধু R নিয়েই প্রায় ১০০ কোর্স আছে। তবে প্রথমটি ছাড়া বাকি প্রায় সবগুলোরই অ্যাক্সেস পেতে ডলার গুণতে হবে আপনাকে।

ডেটাক্যাম্পR এর সব কোর্সের লিঙ্ক

২। Coursera
এখন পর্যন্ত অনলাইন কোর্সের সবচেয়ে বড় মাধ্যম Coursera। এখানে ডেটা সায়েন্স নিয়ে বেশ কিছু কোর্স আছে। তার একটির একাংশে আছে R Programing নামে R নিয়ে একটি মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ কোর্স। কোর্সটি জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির প্রফেসরদের দ্বারা পরিচালিত। এতে আগের কোর্সটির কন্টেন্ট এর পাশপাশি লুপ ও সিমুলেশনও আছে। কোর্সটি ৪ সপ্তাহের। প্রতি সপ্তাহেই আছে অ্যাসাইনমেন্ট। এগুলো করতে করতে R অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে।

Courseraয় প্রায় সব কোর্সই টাকা দিয়ে করতে হয়। তবে প্রায় যে-কোনো কোর্সেই Financial aid এর জন্যে অ্যাপ্লাই করা যায়। এটায়ও করা যায়। অ্যাপ্লিকেশনের ১৫ দিন পরে অনুমোদন হলো কি না জানা যায়। হলে তখনই শুরু করা যায়। তবে অ্যাপ্লিকেশন রিজেক্ট হবার নজির আমি দেখিনি কখনও।

৩। Essential R (পেন স্টেইট ইউনিভার্সিটি) 
এটা ওদের অনলাইন কোর্সের জন্যে করা হলেও খুবই হেল্পফুল। পাশাপাশি ওদের R এর অনলাইন কোর্সটাও চেখে দেখার মতো।

আরও কোর্স
১। EDX: The Analytics Edge
২। EDX: Statistics and R


বই

১। R Programming for Data Science, Roger Peng
 এই বইটি মূলত Coursera'র কোর্সের আলোকে করা। এটা পড়লেই কোর্সের প্রায় সব কিছু জানা হয়ে যাবে।

২। R in a Nutshell, Joseph Adler
নাটশেল বলা হলেও আসলে বইটির কলেবর বেশ বড়। পিডিএফে ৭২২ পৃষ্ঠা! তবে ধাপে ধাপে R বিশেষজ্ঞ হতে এর জুড়ি নেই।

৩। R for Data Science: IMPORT, TIDY, TRANSFORM, VISUALIZE, AND MODEL DATA
Hadley Wickham & Garrett Grolemund

বইটির অন্যতম লেখক হ্যাডলি উইকাম। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী ডেটা সায়েন্টিস্ট। R এত জনপ্রিয় হবার পেছনে আছে এই মানুষটির অবদান আমার মতে সবচেয়ে বেশি। tidyr, ggplot2, dplyr, readr, devtools, roxygen2 এর মতো জনপ্রিয় R প্যাকেজগুলোর ডেভেলপার তিনি। ডেটা সায়েন্সের কোনো প্রোজেক্ট R দিয়ে একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করতে যা যা লাগবে তার সব এই বইতেই আছে। বইটির একটি বড় অংশ অনলাইনেই পড়া যায়। এই লিঙ্ক থেকে


৪। ggplot2: Elegant Graphics for Data Analysis; Hadley Wickham
যে প্যাকজটির জন্যে হ্যাডলি সবচেয়ে বিখ্যাত সেটি হলো ggplot2। দারুণ সব গ্রাফিক্স আঁকতে এই প্যাকেজের জুড়ি নেই। ggplot2 এর সব খুঁটিনাটি নিয়েই এই বই।

৫। Machine Learning with R, Brett Lantz
মেশিন লার্নিং এর কাজগুলো কত দারুণভাবে R দিয়ে করা যায় তা জানা যায় এই বইটি পড়লে। শুরুর দিকে R এর বেসিক বিষয়গুলোও দারুণভাবে উঠে এসেছে।

৬। Introduction to visualising spatial data in R

এটা ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায় এই লিঙ্ক থেকে। জিওগ্রাফিক ডেটা অ্যানালাইসিস ও ম্যাঁপ আঁকা শুরু করতে এটার জুড়ি নেই।

আরও কিছু বই
১। Advanced R, Hadley Wickham
২। Applied Predictive Modeling, Max Kuhn and Kjell Johnson
৩। Hands-On Programming with R, Garrett Grolemund
৪। R Graphics Cookbook, Winston Chang
৫। Machine Learning for Hackers, Drew Conway and John Myles White
৬। Machine Learning Mastery With R, Jason Brownlee

এই বইটার কন্টেন্ট আমার খুব নজর কেড়েছে।



অনলাইন টিউটোরিয়াল
১। R tutorial: listendata.com
শুধু এখানে যে আছে শেষ করতে পারলেই R এর বিশেষজ্ঞদের সাথে পাল্লা দেওয়া যাবে।

২। টিউটোরিয়াল পয়েন্ট
এখানে একেবারে বেসিক থেকে ধারাবাহিকভাবে সবে কিছু আলোচনা করা আছে।

৩। GIS in R by Nick Eubank
R দিয়ে ম্যাপ আঁকতে ও জিওগ্রাফিক ডেটা অ্যানালাইসি শিখতে।

আরও কিছু ওয়েবসাইট
১। R graph gallery
২। Variance explained

এছাড়াও R এর ইউজার কমিউনিটি খুব শক্তিশালী বলে প্রোগ্রামিং করতে করতে সমস্যায় পড়ে গেলে সমাধান পাওয়া যায় খুব সহজে। কারণ, আপনি আজ যে সমস্যায় পড়লেন, আরও লাখ লাখ মানুষ অনেক বছর আগেই সে সমস্যায় পড়েছেন। সমধানও পেয়েছেন। সমস্যা নিয়ে গুগোল সার্চ দিলেই সমধানগুলো চোখে পড়বে। সম্ভবত সবচেয়ে বড় অবদান রাখে Stackoverflow ওয়েবসাইটটি।

এখানে r ট্যাগযুক্ত প্রশ্নোত্তরগুলো চর্চা করতে থাকলে ক্রিয়েটিভিটি লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাবে।

এবার একটু নিজেদের কথা বলি। আমাদের এই সাইটেও  R নিয়ে কিছু টিউটোরিয়াল আছে। আপাতত খুব সামান্যই। তবে জিওগ্রাফিক ম্যাপিং এর আর্টিকেলটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পাওয়া যাবে এই লিঙ্কে

ভালো থাকুন!
Category: articles